বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ তথ্য তুলে ধরে।
ইডব্লিউজি জানায়, ভোটের দিন ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৯টি কেন্দ্রে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মোট ১৫৯ ঘটনা দেখা গেছে।
ইডব্লিউজির সদস্য সংস্থাগুলো ভোটের প্রস্তুতি ও কেন্দ্র খোলার সময়কাল, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম, ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ও ভোটগণনা এবং কেন্দ্রের বাইরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।
পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ভোটকেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কেন্দ্র বাছাই করে ইডব্লিউজি। তাদের প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণে অংশ নেন।
ইডব্লিউজির পরিচালক ড. মো. আব্দুল আলীম জানান, তাদের পর্যবেক্ষণ করা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ৬০টি কেন্দ্রে তারা অনিয়ম দেখেছেন।
জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারা, ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের ভেতরে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে অননুমোদিত ব্যক্তিদের অবস্থান ও ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেয়ার মতো নির্বাচনী অনিয়ম দেখা গেছে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘কিছু কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি, কিছু কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া, আমাদের দল কিছু কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে সহিংসতার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ একজন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিতে দেখেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘনের চারটি ঘটনাও তুলে ধরা হয়।
ইডব্লিউজি জানায়, তারা ৯৬ দশমিক ৯ শতাংশ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের এবং ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের দেখতে পেয়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো গাজীপুরের নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি বলে দাবি সংস্থাটির। তাদের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে এসব সমস্যা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনকে আরো সক্রিয় হতে হবে।
ইডব্লিউজির পূর্ণ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হবে বলেও জানান তারা।