শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি ) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, মোট ২১ জঙ্গির মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন।
ছয়জন কারাগারে বন্দী আছেন এবং বাকি দুজন পলাতক রয়েছেন বলে জানান সিটিটিসি প্রধান। তবে তিনি সন্দেহভাজনদের নাম ও পরিচয় জানাননি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই সন্ধ্যায় হলি আর্টিজান বেকারিতে বোমা, গ্রেনেড ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ১৮ জন বিদেশিসহ কিছু লোককে জিম্মি করে জঙ্গিরা।
পরে ইতালির নয়জন, জাপানের সাতজন, ভারতের একজন, বাংলাদেশি বংশদ্ভূত আমেরিকার দুজনসহ ২০ জনকে হত্যা করা হয়। এছাড়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা সালাহ উদ্দীন আহমেদ খান ও গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম মারা যান।
পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বেকারির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। অভিযান শেষে ছয় জঙ্গির লাশ পাওয়ার কথা জানানো হয়।
এ হামলার ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।