ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আমীর হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন সাপমারা ফকিরের টিলা এলাকার ওমর আলীর ছেলে।
রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলাজজ মোতাহের আলী এই রায় ঘোষণা করেন।
ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ২০০৮ সালের ১৭ মে জেলার হাটহাজারীর দক্ষিণ পূর্ব মেখল এলাকার খলিল চৌধুরীর বাড়ির পাশে ফতেহপুরের জেবল হোসেনে শিশু কন্যা জুলি আক্তার (১০) ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ নাছের ইউএনবিকে ফাঁসির রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও দিয়েছে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন শিশু জুলি আক্তার তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে সেখানে জমিতে ধান কাটার শ্রমিক তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে পাশের মেখল খলিল চৌধুরী বাড়ির পাশে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়।
ঘটনার একদিন পর ১৯ মে আমীর হোসেন প্রকাশ জামালকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন জুলির চাচা আবদুর রহিম। পুলিশ ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং ২০০৯ সালের ৮ আক্টোবর আদালত মামলার চার্জগঠন করে।
মোট ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য শেষে আজ আদালত আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেয়।