আটকরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পাইয়ে দেয়ার চুক্তি করে বলে জানা গেছে।
তারা হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক-ই-আতাহার মেজবাহ এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিবুল সাদাত ও তাদের বহনকারী গাড়ির চালক আনোয়ার হোসেন।
সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আটকরা এক পরীক্ষার্থীকে ৫ লাখ টাকার চুক্তির বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সরবরাহ করার কথা বলে। তবে ওই প্রশ্নের সাথে পরীক্ষার প্রশ্নের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
চুক্তির বিষয়টি রবিবার রাতে ওই শিক্ষার্থী তার বড় ভাই জাবির দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান নীলকে জানায়।
পরে নীল তার সহপাঠীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে তাদের আটক করে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে নীল বলেন, ‘তারা আমার ছোট ভাইকে সি ইউনিটের প্রশ্ন দেয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকার চুক্তি করে। বিষয়টি জেনে আমি একটি ফাঁদ তৈরি করি এবং আমরা সফল হই।’
পরে জাবির নিরাপত্তা দল তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জাকির হোসেন নামে একজন তাদের ওই দলের নেতা বলে জানায় আটকরা।
সে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানায় তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, একটি প্রতারক চক্র প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করছে। আমরা কিছু প্রশ্নের নমুনা পেয়েছি তবে তার সাথে আমাদের প্রশ্নের কোনো মিল নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হস্তান্তর করবো। তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’