প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস ফ্লাইটটি সাড়ে ৭টায় টরেন্টোর উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। পথে দুবাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি নেবেন।
শুক্রবার টরেন্টো স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। পরে তিনি এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে কুইবেক সিটিতে যাবেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ১২ জন নেতাকে এই সেশনে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
জি৭ ভুক্ত দেশগুলো হলো- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা।
আগামী ৯ জুন কুইবেক সিটিতে বিশেষ আউটরিচ সেশনে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
কুইবেকে ১০ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। সন্ধ্যায় টরেন্টোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
পাশাপাশি ১১ জুন টরেন্টোতে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কানাডার বিশেষ দূত বব রাইয়ের সাথে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী মঙ্গলবার জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এসডিজি অর্জনে সহযোগিতা, রাজনৈতিক পরামর্শ, সমুদ্র অর্থনীতিতে সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন।
জি৭ ফোরামে জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার, সমুদ্র অর্থনীতি এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের উদ্যোগ তুলে ধরা হবে।
বিশেষ আউটরিচ সেশনে নিরাপদ সমুদ্র এবং স্থিতিশীল উপকূল বিষয়ে আলোচনা হবে।
আগামী ১২ জুন দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।