বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী মধু মালতি চৌধুরী বড়ুয়া রবিবার এ আবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিল করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন করতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. মো. আক্তারুজ্জামান, প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন করেন।
ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে করা রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা না নেয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে আইনী নোটিশ পাঠান মনজিল মোরসেদ।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এছাড়া ওই নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা অনুসারে ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠান রিটকারীর আইনজীবী।
এদিকে, গত রবিবার ক্যাম্পাসে ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদ।
ওই বৈঠকে ডাকসু নির্বাচন দ্রুত আয়োজন ও ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন নেতারা।
পরে উপাচার্য অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান সংবাদিকদের জানান, আগামী বছরের মার্চে এ নির্বাচনটি হতে পারে।
জানা যায়, ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তখনকার শিক্ষার্থী আলী আসিফ শাওনসহ ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদনটি করা হয়।