সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভার এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কেবলমাত্র তার শিক্ষার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে অবস্থান, ঘোরাফেরা এবং কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে প্রক্টরের অনুমতি নিতে হবে।’
গত ৫ জুলাই প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার চার দিন পর তা সর্ব সাধারণের অবগতির জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে সাম্প্রতিককালে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, বহিরাগতদের অবস্থানের বিষয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবে।
বিভিন্ন আবাসিক হল এবং অন্য কোথাও বহিরাগতরা অবস্থান করলে তাদের নোটিশ পাওয়া মাত্র আবাসিক স্থাপনা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়- বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, আবাসিক হল ও হোস্টেলগুলোতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন, চরমপন্থী ও উগ্র ভাবাদর্শ প্রচারে ও কর্মকাণ্ডে কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হল প্রশাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কোনো অবস্থাতেই যাতে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও চরমপন্থীরা হলে প্রবেশ এবং অবস্থান করতে না পারে, সে ব্যাপারে হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও তৎপর থাকার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সব হলে অবস্থানরত ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রশাসন নিয়মিত মতবিনিময় সভা করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ইউএনবিকে ঢাবি প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিছু লোক বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার করছে। তবে আমরা এ অবস্থার প্রতিরোধে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পড়াশোনার শান্তিপূর্ণ অবস্থান রক্ষায় কার্যকরী সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
গত এপ্রিলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরণিত হয়। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের কথা জানান। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা আবারো আন্দোলনে নামেন। তবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধার মুখে ঢাবিসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজগুলোতে এ কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।