টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি, দুর্নীতি নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে অস্বস্তি রয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের শোধরানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি উচ্ছেদ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মূল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
দুর্নীতি বন্ধে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাই, গণমাধ্যমের সহায়তায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত থাকবে।’
দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে ইতোমধ্যেই মাদক, জঙ্গি তৎপরতা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সফলতা অর্জন করেছি।’
শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানি থাকবে না। সকল ধর্ম-বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। সকলে নিজ নিজ ধর্ম যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে পারবেন।
বৈশ্বিক প্রভাবে কিংবা স্থানীয় প্ররোচনায় কিছু কিছু তরুণ বিভ্রান্তির শিকার হয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই।
এসময় প্রধানমন্ত্রী সমাজের সকলকে মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান।