আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাহপরিচালক, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল সহ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে অধ্যক্ষ নিয়োগের সরকারি সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্ষেত্রে স্থগিত করা হয়েছে। ফলে রাজধানীর এই স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
জানা যায়, গত বছরের ২৮ আগস্ট দেশের সকল বেসরকারি স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ৬ জানুয়ারি রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের কার্যকারিতা স্থগিত রাখতে চিঠি দেয়। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ জানুয়ারি রিট করেন ভিকারুননিসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
ওই রিটে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন আইন, ২০০৫ অনুযায়ী সকল শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের। তবে ২০০৯ সালের বেসরকারি স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডি রেগুলেশন এবং ১৯৬১ সালের শিক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডিকে দেয়া হয়েছে। অথচ সরকার তার ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মঙ্গলবার ওই রিটের শুনানি হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের ওপর সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকলো না। একইসঙ্গে, বেসরকারি স্কুল ও কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে সরকারের নিষেধাজ্ঞা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছে আদালত।