অভিযুক্ত চিকিৎসক অর্থো-সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল কাদের।
তার অনুপস্থিতির বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (হটলাইন- ১০৬ এর মাধ্যমে জানানো হয়) জানতে পেরে কমিশনের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে পরিচালক শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে অভিযান চালায়।
এ সময় দুদক টিম দেখে, চিকিৎসক মো. আব্দুল কাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালীতে ওএসডি থাকা অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে সংযুক্ত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ গত বছর ১৯ জুলাই তাকে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে বদলি করে। এর প্রেক্ষিতে সদর হাসপাতাল, নড়াইল কর্তৃপক্ষ তাকে ২৯ জুলাই ছাড়পত্র দিয়ে যথাসময়ে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত সেখানে যোগদান না করেই সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
অভিযানে দুদক টিম আরও জানতে পারে, বদলির আদেশ বাতিল করার জন্য ওই চিকিৎসক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন দিয়েছিলেন। কিন্তু সে আবেদন গৃহীত হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত না হয়েই তিনি ছয় মাসেরও বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। দুদক টিমের উপস্থিতিতে আজই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা তাৎক্ষণিকভাবে আব্দুল কাদেরের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের নৈরাজ্য শুধু চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থীই নয়, অবধারিতভাবে এটা দুর্নীতি। কারণ সরকারি পদে বহাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবং জনগণকে সেবা না দিয়ে বেতন-ভাতা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি।’