বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সাথে নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে নির্বাচনী প্রচারণায় উচ্চ মাত্রার সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ কারণে আমি সিইসির সথে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলাম। সংখ্যালঘু ও নারী প্রার্থীসহ সকল দল সহিংসতার শিকার হচ্ছে। তবে, বিরোধী দলের প্রার্থীরা বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশ এবং সমাবেশের সুযোগ থাকতে হবে।
নির্বাচনী সংবাদ প্রকাশে স্বাধীন গণমাধ্যমের সুযোগ থাকতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে অবাধে তথ্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। সবাই যাতে হয়রানি, উসকানি ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য নিয়ে বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে। এখানে নির্বাচনে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। যার ফলে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশ এবং সমাবেশের সুযোগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশিদের জন্য ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে কী পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি তা দেখার সুযোগ দেয়ায় নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিরা যেন ৩০ ডিসেম্বর অবাধ, নিরপেক্ষ, সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র সেটাই কামনা করছে’