সোমবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আস সামছ জগলুল হোসেন পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ জুন দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে সোনাগাজীর সেই ওসির বিরুদ্ধে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গতকাল রবিবার সোনাগাজীর সাবেক ওসির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন পিবিআই সদর দপ্তরের সিনিয়র এএসপি রিমা সুলতানা।
গত ১৫ এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলাটি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম অনুমতি ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে নুসরাতকে জেরা ও তা ভিডিও করা এবং পরবর্তীতে ওই ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ আনা হয় ওই ওসির বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মেয়েকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। এরপর নুসরাতকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ওই সময় ওসি নিয়ম ভেঙে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন। পরে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে তাকে হত্যার ঘটনার মধ্যেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
মামলা তুলে না নেয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিন তলার ছাদে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করে নুসরাত।