রবিবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ‘শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য ভূমি কমিশন গঠন করে দেয়া হয়েছে। আপনারা ভূমি কমিশনকে সহযোগিতা করুন।
তিনি আরও বলেন, ভূমি মালিকানা নিয়ে সমস্যা থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আগে কেউ ক্ষতিপূরণ পেতো না। আইনটি কার্যকর হলে এবং নিজের নামে ভূমির মালিকানা পেলে তারা ক্ষতিপূরণ পাবে।
ব্রিটিশ পিরিয়ডে তৈরি হওয়া ভূমি আইনটি অনুসরণ না করার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই আইনের মাধ্যমে কাজ করতে যেয়ে ভূমি কমিশনকে বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
সারা বিশ্ব আজ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের নিজ ভূমিতে অধিকার নিয়ে বসবাস করার অধিকার রয়েছে।’
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সকল কোটা বাতিল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদিও আমরা কোটা প্রত্যাহার করেছি। আমি পিএসসিকে বলে দিয়েছি পার্বত্য চট্টগ্রাম বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাহাড়ী হোক, সমতল হোক সেখানে যে প্রাপ্তি থাকবে, তা চাইলে দিতে পারবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুল মুক্তারিদ চৌধুরী।