রেজিমেন্টের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদরদপ্তরে আয়োজিত দরবারে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
পিজিআর সদস্যদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বৈশ্বিক নানা কারণে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ত্রাস এখন আর কোনো একক দেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের সাথে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ও অপরাধের ধরনও পাল্টাচ্ছে।’
‘এ পরিস্থিতিতে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আপনাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ তথ্যপ্রযুক্তি ও কৌশলগত উৎকর্ষ অর্জন করতে হবে। নিরাপত্তার ধরন হবে সর্বাত্মক, সমন্বিত ও নিশ্ছিদ্র,’ যোগ করেন তিনি।
সামরিক জীবনে দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, প্রশিক্ষণ সবাইকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখে, পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং সর্বোপরি সহমর্মিতা ও আনুগত্য শেখায়। তাই আপনাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
পিজিআরের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘মূল দায়িত্ব হচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটি একদিকে যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তেমনি তা স্পর্শকাতর। আপনারা যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন তাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। তাই দায়িত্ব পালনকালে ভিভিআইপিদের সাথে জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। জনগণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয়, বরং জনসম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে আপনাদের কৃতিত্ব।’
পিজিআর সদস্যদের চেইন-অব-কমান্ডের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধাশীল থেকে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন এবং রেজিমেন্টের অর্জিত গৌরব সমুন্নত রাখতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
পরে আবদুল হামিদ পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর এবং পিজিআরের কর্মকর্তাদের সাথে ফটোসেশনে যোগ দেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পিজিআরের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুনসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।