বিশ্বনেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অবদান উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, ‘গুটিকয়েক বিশ্বনেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন, যিনি জাতিসংঘের এমডিজি ও এসডিজি উভয় এজেন্ডা গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন। যা সফল ও ধারাবাহিক নারী নেতৃত্বের এক অনন্য উদাহরণ।’
নারী অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রাপ্ত গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ সহ অসংখ্য অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে নারী অগ্রগতির বিষয়টি একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নারী উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি, সেবা ও শিল্প খাতে প্রায় দুই কোটি নারী কাজ করছেন। পোশাক খাতের কর্মীদের ৮০ শতাংশই নারী। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা দমন, বাল্যবিয়ে রোধ, নারী পাচার ও নারী সমতা আনয়নে শেখ হাসিনা সরকার নানাবিধ আইন ও কর্মপন্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মোমেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, আমরা প্রান্তিক ও ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় এনেছি, যাতে কেউ পেছনে পড়ে না থাকে।
বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যের বিষয়ে তিনি বলেন, চলতি সংসদে ৭২ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা ছাড়াও জাতীয় সংসদে রয়েছেন নারী সংসদ উপনেতা, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা এবং মন্ত্রীপরিষদে আছেন পাঁচজন নারী। তিনি বলেন, সম্ভবত বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের এরূপ দৃষ্টান্ত রয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, ক্রীড়া ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম-২০১৭ এর জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স অনুযায়ী লিঙ্গ সমতায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পরপর তিনবার প্রথম স্থান দখল করেছে।
জাতিসংঘেও নারী অগ্রগতি ইস্যুতে বাংলাদেশ অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মর্মে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।