তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। আরব আলী পেশায় একজন কৃষক।
রবিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগেরদিন শনিবার বিকাল ৫টার দিকে বিজরুল গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে সৎ ছেলে ময়নুল ইসলাম মধুর (১৫) লাঠির আঘাতে তিনি আহত হন।
নিহতের চাচাতো ভাইয়েরা জানান, আরব আলী দেড় বছর আগে একই গ্রামের মর্জিনা বেগম (২৩) নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এর আগে মর্জিনার আরও দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। কিছুদিন আগে মর্জিনা তার স্বামীকে না জানিয়ে পাশের শেরপুর উপজেলায় চলে যান। গত শনিবার শেরপুর থেকে মর্জিনা তার মায়ের বাড়ি বিজরুল গ্রামে বেড়াতে আসেন।
খবর পেয়ে আরব আলী স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ি যান। তখন মর্জিনা জানায়, সে স্বামী আরব আলীকে তালাক করেছে। এ নিয়ে আরব আলীর সাথে মর্জিনার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মর্জিনার আরেক পক্ষের ছেলে ময়নুল তার মায়ের পক্ষ নিয়ে সৎ বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন আরব আলীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে ।
নন্দীগ্রাম থানার এসআই মনোয়ার হোসেন জানান ,ঘটনার পর থেকেই মর্জিনা, তার মা জরিনা বেগম ও ছেলে ময়নুল পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।