শুক্রবার সচিবালয়ে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-বেইজিংয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বৈঠকে নেতৃত্ব দেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর এবং জননিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী ঝাও কেঝি এবং বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মধ্যে রয়েছে-আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সহযোগিতা ও পুলিশ বিভাগের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চুক্তি ছাড়াও কাউন্টার টেরোরিজম, সাইবার অপরাধ, জঙ্গিবাদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, মাদকদ্রব্য, ফায়ার সার্ভিস এবং ভিসা সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা বলেছে (চীনের প্রতিনিধি) জঙ্গিবাদ দূর করা এখন সারা বিশ্বের একটি সাধারণ চ্যালেঞ্জ এবং আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যৌথভাবে কাজ করবো।’
পাশাপাশি বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য চীনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ রক্ষা এবং নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে তারা (চীন)।
প্রায় দুই ঘণ্টা স্থয়ী এই বৈঠকের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের উপস্থিতিতে চীনা মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ঝাও কেঝি। পরে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ বছর চীন থেকে বাংলাদেশে এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর।