তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। আমাদের আরও বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা আছে...অদূর ভবিষ্যতে আমরা বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালু করতে পারব...আমরা দূরবর্তী এলাকাগুলোতে রেললাইন স্থাপন ও সেই সাথে সহজ যাতায়াতের জন্য দ্রুতগতির ট্রেন চালু করব।’
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা ও দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের মধ্যে নতুন আন্তনগর ট্রেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ চালু এবং ঢাকা-রাজশাহী রুটের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’র যাত্রাপথ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল মাত্র ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। কিন্তু এখন তা ২২ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে বিদ্যুৎচালিত ও দ্রুতগতির ট্রেন চালুর মাধ্যমে পণ্য পরিবহন সহজ ও গতিশীল হবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
‘অর্থনীতি শক্তিশালী হবে...আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন এবং যে জন্য মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই ও জীবন দিয়েছিলেন সেই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আধুনিক সব ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলপথে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশের রেল খাত উন্নয়নে সব সময় সহযোগিতার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ট্রেন কম খরচে অনেক যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে পারে, যা বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
‘কিন্তু দুঃখজনক যে বিএনপি সরকারের আমলে তারা এ খাত বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় ফিরে রেলের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করেছি এবং জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ দিয়েছি। যাতে এটি মানুষকে সেবা দিতে পারে,’ বলেন তিনি।
উন্নয়নের জন্য যোগাযোগকে খুব গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য যোগাযোগ সেবাকে গণমানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া।
ঈদুল আজহা সামনে রেখে নতুন ট্রেনগুলো সরকারের পক্ষ থেকে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের মানুষের জন্য উপহার বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং এশীয়া উন্নয়ন ব্যাংকের এ দেশীয় পরিচালক মনমোহন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেন।