তিনি বলেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমাদের বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। এর মাধ্যমেই আমরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারব।’
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরে আঙ্কটাড বিশ্ব বিনিয়োগ ফোরাম ২০১৮-এর পাঁচ দিনের সম্মেলন শুরু হয় গত ২২ অক্টোবর।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের বিনিয়োগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অঙ্গিকার অনুযায়ী, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিষয়টির দিকেও নজর দেয়া।
এছাড়াও সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সুযোগসুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বেসরকারিখাতকে উৎসাহ প্রদান করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বায়নের প্রভাব আমরা এখন পরিলক্ষিত করলেও বিশ্বায়ন ব্যাপারটি আজকে নতুন কিছু নয়।’
শিল্প বিপ্লব এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বছরের পর বছর ধরে জীবনে গতির সঞ্চার এনেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্পবিপ্লব এবং বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন বছরের পর বছর ধরে এই প্রভাবকে বাড়াচ্ছে। বিংশ শতাব্দীতে নজিরবিহীন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং যোগাযোগের ওপর এর প্রভাব পণ্য ও সেবার স্থানান্তরে বিপ্লব আনলেও সম্পদের সুফল প্রত্যেক মানুষের কাছে সমানভাবে পৌঁছেনি ।
বিশ্বায়নের নেতিবাচক দিক তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের সুফল আরও মানুষ কীভাবে পেতে পারে, তার জন্য বিনিয়োগ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
আঙ্কটাড বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০১৮-এর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপতি উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ২০১৭ সালে বিশ্ববিনিয়োগ ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ হ্রাস কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খালৎমা বাটুলগা, মন্টেনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট মিলো ডুকানোভিচ, আঙ্কটাডের সেক্রেটারি জেনারেল মুখিসা কিতুভাইসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রী, বিনিয়োগকারী, সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।