নয়াদিল্লির এক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, অতীতে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়া লর্ড কারলাইল যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন নয়াদিল্লিকে দৃঢ় সুপারিশ জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে লর্ড কারলাইলের নয়াদিল্লি সফর এবং ১৩ জুলাই ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, লর্ড কারলাইল ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের আদালতের আদেশের সমালোচনা করতে চান। তিনি হয়তো বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতিও দিতে চান।
এদিকে, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কেউ যাতে ভারতের বিরুদ্ধে কিছু করতে না পারে সেই নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
লর্ড কারলাইলের পরিকল্পা জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন এবং নিজেদের বার্তা দিয়েছেন বলে এক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
উভয়পক্ষ একমত হয়েছে যে লর্ড কারলাইল যদি নয়াদিল্লি থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয় তাহলে এতে হয়তো ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে সমস্যার সৃষ্টি হতে পরে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কারলাইল একজন ব্যারিস্টার এবং যুক্তরাজ্যের অন্যতম নেতৃস্থানীয় আইন বিশেষজ্ঞ।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৬টি মামলায় তার আইনজীবীদের পরামর্শ দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য বিএনপি লর্ড কারলাইলকে নিয়োগ করেছে বলে ২০ মার্চ ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে ওই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।