বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সাথে পৃথক বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।
এলিসন ব্লেইক বলেন, ‘আমি, আমার মিনিস্টাররা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহযোগী রাষ্ট্রগুলো চায় বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং সকল দলের সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, যাতে সবকটি দল স্বাধীনভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারে, তাদের সমর্থকরা প্রকাশ্যে চলাচল করতে পারে এবং ভোটাররা ভোট দিতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন এটাই দেখার বিষয় হবে যে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট দিতে পারছেন কিনা।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশের অর্থায়নে প্রায় ৫০০০ দেশীয় পর্যবেক্ষক ১১৪টি সংসদীয় আসন পর্যবেক্ষণ করবে। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা চাই সম্ভাব্য সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া যেখানে বাংলাদেশের মানুষ কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ, সহিংসতা এবং বাধা ছাড়া ভোট দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি খুব সামান্যই দেখতে পারি, কিন্তু এত সংখ্যক পর্যবেক্ষকরা কী ঘটছে তা দেখতে পারবে এবং তা জনগণকে জানাতে পারবে যে সঠিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ চলছে কিনা।’
অ্যালিসন ব্লেইক বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারণা ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আমি সিলেট এসেছি। সিলেটে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন দেখতে চাই।’
এদিকে ড. মোমেন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাথে বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, নির্বাচনে ঈদের মতো উৎসব হচ্ছে। অ্যালিসন ব্লেইকের সাথে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ‘তাকে আমি জানিয়েছি, নৌকার প্রচার প্রচারণায় বিরোধী দল বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করছে। এছাড়া নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে আমরা জানিয়েছি, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসলে দেশে কি কি উন্নয়ন হবে।’