সোমবার সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে দাবি করা হয়, ‘প্রকাশিত প্রতিবেদনটি বস্তুনিষ্ঠ, নির্ভরযোগ্য ও সংঘটিত ঘটনার বাস্তবচিত্র। আমরা কখনো দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বাড়িয়ে বা কমিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করি না। সব রকমের সাবধানতা ও যাচাই-বাছাই করেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে কোনো ত্রুটি পায়নি।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে এবং তা সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির।
২০১৬ সালে সমিতির প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনা ও নিহতের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে বলা হলে তা উপস্থাপন করে সরকার বাহবা নিয়েছে বলেও জানায় তারা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সমিতি সরকারের সহায়কশক্তি হিসেবে কাজ করে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করে সড়কপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের দূরে রেখে সত্য গোপন করে নিজেরাই জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌপথে ৩৩৫টি দুর্ঘটনায় ৪০৫ জন নিহত ও ১২৭৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে ২৭৭টি দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ৩৩৯ জন নিহত ১২৬৫ জন আহত হন।
জবাবে সমিতির প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। রবিবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঈদের আগে-পরে ১৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৯ জন নিহত হয়েছেন বলে যে তথ্য জানিয়েছেন তা সঠিক নয়। বিআরটিএ’র জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কার্যালয়, পুলিশ রেকর্ড এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ জুন হতে ২৪ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী ১০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫২ জন নিহত এবং ৩৫৫ জন আহত হন।