শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তনে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র শিক্ষাঙ্গনে বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মৌলবাদ ও উগ্রবাদকে উসকে দিয়ে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়। তাই শিক্ষার্থীসহ দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানতে পারে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারে সে ব্যাপারেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাতে হবে।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, অভিভাবক এবং সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির অমিত শক্তি যুব সমাজ। যুব সমাজের শক্তি ও সম্ভাবনাকে দেশ গঠনের কাজে লাগাতে আমাদের যুব সমাজকে অবশ্যই অপসংস্কৃতির প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন চিন্তার অধিকারী হতে হবে।
দেশ ও জাতির উন্নয়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। একটি ছাড়া অপরটি অচল। তাই গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করতে হলে দেশে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।
ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থের কোনো স্থান থাকবে না। ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব থাকবে ছাত্রদের হাতে। লেজুড়বৃত্তি বা পরনির্ভরতার কোনো জায়গা থাকবে না। ছাত্রসমাজকেই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ সমাবর্তনের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দুই প্রখ্যাত সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক এবং সেলিনা হোসেনকে সম্মান সূচক ডি. লিট ডিগ্রি দেয়া হয়।
সমবর্তনে অংশ নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।