বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তারাকান্দা ও ত্রিশাল উপজেলায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয় বলে জানায় পুলিশ।
নিহত আলী হোসেন (৩৮) তারাকান্দা থানার পানিহড়ি গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে এবং নিহত স্বপন মিয়া (৩২) ত্রিশালের ধানীখোলা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। পুলিশ বলছে, তারা দুজনেই তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এস.এ. নেওয়াজির ভাষ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও তারাকান্দা থানা পুলিশ যৌথভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। তারাকান্দা ফুলপুর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে পীর সাহেবের অটোরাইস মিলের কাছে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক ভাগাভাগি করছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি ছুড়ে।
পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে আলী হোসেন নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, ওই স্থান থেকে ২শ’ পিস ইয়াবা ও তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ ২৫টি মামলা রয়েছে।
নেওয়াজি আরো জানায়, রাত ৪টার দিকে ত্রিশাল পৌর এলাকার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পৃথক‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্বপন নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়।
পুলিশের দাবি, ওই স্থান থেকে ২শ’ পিস ইয়াবা, ১০০ গ্রাম হেরোইন ও তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ আটটি মামলা আছে।
ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।