শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রতিবেদনের এ তথ্য জানান সাংবাদিক নেতারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশু রাইফাকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল।
চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দায়ী তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়াসহ চারটি সুপারিশ দেয়া হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, চিকিৎসা সেবায় অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর মধ্যে এ প্রথম নিজেদের ত্রুটি স্বীকার করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। এটি চট্টগ্রামসহ দেশের সব সাংবাদিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফসল।
এর আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ম্যাক্স হাসপাতালের ১১টি অনিয়ম চিহ্নিত করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের জন্য যে আবেদন করা হয়েছে সেটি বিধি মোতাবেক হয়নি, হাসপাতালটি ১৫০ শয্যার হলেও এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের কোনো নিয়োগপত্র নেই, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কোনো তালিকা নেই, হাসপাতালটিতে ক্লিনার ও কর্মচারী নিয়োগের কোনো তথ্য নেই, হাসপাতালে থাকা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবটি অনুমোদনহীন, প্যাথলজিস্ট ও রিপোর্ট প্রদানকারী চিকিৎসক এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কোনো তালিকা নেই। এছাড়া হাসপাতালটিতে কোনো ব্লাড ব্যাংক নেই বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে বিএমএ সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সভাপতি এবং চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৯ জুন রাতে গলা ব্যথার চিকিৎসা নিতে এসে ম্যাক্স হাসাপাতালে মৃত্যু হয় রাইফার। এ ঘটনায় চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সাংবাদিকরা আন্দোলন করে আসছেন।