ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় লাঠি আন্দোলনকারীদের ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, সকাল সাড়ে নয়টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এসসয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিবহন মার্কেট দিয়ে শোডাউন করে পুনরায় গ্রন্থাগারের সামনে এসে অবস্থান নেয়। সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পর তারা ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে শোডাউন করে।
তবে হামলার কথা অস্বীকার করেন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা কাউকে হামলা করেনি, ধাওয়াও দিইনি। স্বাভাবিকভাবে ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখে না, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন রাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম বলেন, আমরা প্রায় দেড়শ’ জন শিক্ষার্থী ব্যানার নিয়ে মানববন্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া দেয়া হয়। এসময় আমাদের পাঁচ-ছয়জন আন্দোলনকারীকে মারধর করে তারা। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।