আসামিদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে আছেন, তাদেরকে দেশে এনে শাস্তি ভোগ নিশ্চিত করার দাবিও জানান ভুক্তভোগি পরিবার।
২০০৪ সালে ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ঝরে যায় ২৪টি প্রাণ। আহত হয় শতাধিক মানুষ। ওই ২৪ জনের মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর পাচানী গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মী শ্রমিক আতিক সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হাইমচর উপজেলার উত্তর চর কৃষ্ণপুর গ্রামের আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারী নিহত হন।
আজ বুধবার রায় ঘোষণার পর নিহত দুই পরিবারের এই প্রতিক্রিয়া জানান।
মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের উত্তর পাঁচানি গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ কর্মী আতিক সরকার। ঢাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। নিহত হওয়ার পরে রেখে যান স্ত্রী লাইলি বেগম ও ৪ সন্তান।
অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারীর পরিবার এখনো শোকাহত। ছেলে হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে পারেননি তার বৃদ্ধা মা আমেনা বেগম। তিনি ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।