তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী পদক্ষেপ ও সহযোগিতার আহ্বান জানাবেন যাতে মিয়ানমার অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, আগের পাঁচ দফা প্রস্তাবের সাথে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আরো কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে সকল রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পাঁচ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রশংসিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস অত্যাচারের কারণে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে অনেক বছর থেকে কক্সবাজারে বসবাস করত আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ওআইসি’র সদস্য দেশ এবং আরো অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাটির দ্রুত সমাধান খুঁজে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থনের জন্য ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এলে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে সাধারণ বিতর্ক চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত।