বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
তিনি বলেন, ‘সুরক্ষা ও জবাবদিহিতার নীতিকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র গর্বের সাথে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত জানান, নির্যাতিত মানুষদের ন্যায়বিচার পাওয়া এবং নৃশংসতা ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ তাদের বন্ধু দেশ ও সহযোগীদের সাথে কাজ করছে।
বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ৭ লাখ রোহিঙ্গার জীবন বাঁচিয়েছে জানিয়ে বার্নিকাট বাংলাদেশের উদারতা, মানবতা ও সস্নেহ এবং এর জনগণের ইতিহাস মনে রাখার দৃঢ়তার প্রশংসা করেন।
সেই সাথে তিনি রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ‘নিরাপদ ও সম্মানের সাথে’ ফেরত পাঠানো নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ারও প্রশংসা করেন।
বার্নিকাট বলেন, রাখাইন রাজ্যে শুরু হওয়া এ সংকটে সাড়া দেয়া প্রথম দেশগুলোর একটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট মাদকের ‘প্রধান হোতাদের’ ধরা এবং অবৈধ মাদক বাণিজ্যের জাল ধ্বংস করে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন।
সেই সাথে তিনি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পরিস্থিতি এড়ানো এবং সঠিক উপায়ে কাজ করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরস্পরের কাছ থেকে শেখা নিয়ে কথা বলেন।