পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য নিরসনে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখাতে হবে।’
তার মতে, রাখাইন রাজ্যে প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যকারীদের মিয়ানমারকে প্ররোচনা দিয়ে যেতে হবে, যাতে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়ে শিশুরা নিজগৃহে ফেরার পর তাদের যা প্রয়োজন হবে সেগুলো পর্যাপ্তভাবে সরবরাহ করা যায়।
বুধবার রাজধানীতে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়ে শিশুদের নিয়ে অক্সফামের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিব্লেট এবং অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নিরাপত্তা।
১১টি তল্লাশি চৌকিতে অতিরিক্ত এক হাজার ২০০ জনের অধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ১৩ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সড়কে ৫০টি স্ট্রিটলাইট, ১০টি ফ্লাডলাইট ও এক হাজার ৪৯টি সৌরবাতি লাগিয়েছে।
এছাড়া, রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতরে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাংক ও এডিবিকে অতিরিক্ত সহায়তা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান শাহরিয়ার আলম।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়ে শিশুদের সমস্যাগুলো স্থায়ী ও টেকসইভাবে সমাধান করা প্রয়োজন। এ জন্য আমরা মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয়ের সাথে কূটনৈতিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’