রবিবার এক বিবৃতিতে মার্ক ফিল্ড বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে যা দেখেছি তা সত্যিই হৃদয়বিদারক। শরণার্থীদের জন্য এই বর্ষা মৌসুমে এবং দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা ও জীবিকার ব্যবস্থার জন্য সমর্থন বাড়াতে আমি বাংলাদেশের সাথে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শরণার্থীদের সহায়তা এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বজায় রাখার জন্য তার দৃঢ়সংকল্পের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের জন্য একটি বড় দাতা দেশ যুক্তরাজ্য। শরণার্থী ও আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ১২ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড অনুদান দিয়েছে।
‘আমরা ২৫ জুনে ঘোষিত ইইউ অনুমোদন ব্যবস্থার জন্য আমাদের সমর্থনসহ অগ্রগতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনা চালিয়ে যাব’, বলেন তিনি।
এদিকে জোয়ান্না রোপার বলেন, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্মম নির্যাতনের কাহিনী শুনে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। ক্যাম্পে নারী ও মেয়েদের সমর্থন প্রদানের প্রচেষ্টায় আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। সেই সাথে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শেখার আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
তিনি বলেন, নারী ও মেয়েশিশুদের সমভাবে শিক্ষিত হওয়ার এবং নিরাপদে থাকার অধিকার রয়েছে।
লিঙ্গ সমতা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি আরো বলেন, ‘১৮ জুন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কোনো মেয়েকে পেছনে পড়ে থাকতে দেয়া যাবে না এবং ১২ বছরের মানসম্মত শিক্ষা লাভের জন্য সব মেয়েকেই সক্ষম করে তুলতে হবে। রোহিঙ্গা মেয়েদের জন্য এই বার্তাটি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত বছরের আগস্ট থেকে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা তাদের বাড়ি ছেড়ে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গাদের সাথে যোগ দেন তারা।
শনিবার কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন মার্ক ফিল্ড ও জোয়ান্না রোপার।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলমের সাথে আলোচনা করবেন তারা।