শুক্রবার বেইজিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সাথে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র দ্বিপাক্ষিক আলাপকালে এ আশ্বাস পাওয়া যায়।
বৈঠককালে মাহমুদ আলী মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থা সম্পর্কে চীনকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এসব বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা মানসিকভাবে এতো আঘাতপ্রাপ্ত যে তারা তাদের ফেরার জন্য নিরাপত্তার দৃঢ় নিশ্চয়তা চায়। তারা নিজেদের আসল গ্রামে ফিরতে চায়, কোনো শিবিরে নয়। তাদের অবশ্যই জীবিকা নির্বাহের সুযোগ দিতে হবে।’
রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরানোর জন্য মিয়ানমারকে রাজি করাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের সক্রিয় সহায়তা কামনা করেন বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জবাবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাস্তুচ্যুতদের দ্রুত রাখাইন রাজ্যে ফেরানো এবং সেখানে গৃহ নির্মাণ ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তার মাধ্যমে পুনর্বাসনের পরিবেশ উন্নয়নে চীনের পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে ঘোষিত যৌথ বিবৃতির সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়।
এছাড়া, চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকালে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী। মাহমুদ আলী এসব প্রকল্প দ্রুত চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নে চীনের সহায়তা চান।
চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বেইজিং যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।