সোমবার ভারতের ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি এই বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর দুর্দশা বুঝতে পারি এবং কঠিন পরিস্থিতিতে এসব বাস্তুচ্যুত মানুষকে বাংলাদেশের সহায়তার বিষয়টি প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি হাফিজ আহমেদ মজুমদার, সংস্থার মহাসচিব ফিরোজ সালাউদ্দীন এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিএম) বিক্রম দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
গত এক বছর ধরে বা তার আগে থেকে বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
এই মানবিক আচরণ ভারত ও সংশ্লিষ্ট সবার দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিবেশী, বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে ভারত বাস্তুচ্যুত মানুষের বিশাল ঢলে সৃষ্ট ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা পূরণে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়েছে।’
ভারতীয় হাইকমিশনার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন এবং তার দেশের ত্রাণ সহায়তার তৃতীয় পর্যায় হিসেবে ১১ লাখ লিটার সুপার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ হস্তান্তর করেন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ‘অপারেশন ইনসানিয়াৎ’-এর অধীনে ভারত সরকার মানবিক সহায়তার প্রথম পর্যায়ে ৯৮১ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী প্রদান করে। এসব ত্রাণের মধ্যে ছিল প্রায় ৩ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য চাল, ডাল, চিনি, লবণ, রান্নার তেল, চা, নুডলস, বিস্কুট, মশারি ইত্যাদি।
সহায়তার দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সালের মে মাসে চট্টগ্রামে ৩৭৩ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। যার মধ্যে ছিল ১০৪ মেট্রিক টন গুড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুঁটকি, ৬১ মেট্রিক টন শিশুখাদ্য এবং বর্ষা মৌসুমে ব্যবহারের জন্য ৫০ হাজার রেইনকোট ও ৫০ হাজার জোড়া গামবুট।
শ্রিংলা জানান, বাংলাদেশ থেকে যারা ফেরত যাবেন তাদের বাসস্থানের জন্য ভারত রাখাইন রাজ্যে গৃহনির্মাণ শুরু করেছে। তারা ২৫০ গৃহ নির্মাণ করছে যা প্রায় সমাপ্ত হওয়ার পথে। সেই সাথে ৫০টি ঘরের ভিত্তি নির্মাণ শুরু হয়েছে।