ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রয় সময় আবেদন করলে সোমবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দিন ধার্য করেন।
ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অরবিন্দ কুমার।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে হাইকোর্ট। ২৮ আগস্ট তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।
গত ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ৬ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা হয়। ওই দিনই পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।
রিমান্ড আবেদনে আরো বলা হয়, আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।