সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিকে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মবিন আহম্মেদ ভূঁইয়া পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিপক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি আলী আজগর স্বপন, ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তুহিন হাওলাদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সিকান্দার মিয়ার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার রাতে রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে তাকে আটক করে র্যাবের একটি টিম। পরে তাকে হাতিরঝিল থানা পুলিশে নিকট হস্তান্তর করেন।
অভিযোগকারী ওই নারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এম এম সেকান্দার তাকে হয়রানি করে আসছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করেছেন, যার সিসিটিভি ফুটেজ ও অনেকে সাক্ষীও রয়েছেন।
অভিযোগকারী নারী তার মামলার এজাহারে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী সাক্ষীর নাম-পরিচয় এবং তথ্য উল্লেখ করেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করেন- সেকান্দার দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে আসছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি বনশ্রীতে একটি ফাস্টফুডের দোকানে ডেকে তাকে জাপটে ধরে শরীরে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মেরে বস্তায় ভরে লাশ হাতিরঝিলে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেন। ভয়ে মামলা দায়েরে বিলম্ব করেন তিনি।
এ বিষয়ে পরদিন একুশে টিভির এমডি বরাবর একটি অভিযোগ দিলে সেকান্দার বিষয়টি জেনে যান এবং তাকে (ওই নারীকে) রুমে ডেকে কুরুচিপূর্ণ ও বাজে মন্তব্য করেন।
তবে এ বিষয়ে সেকান্দারের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমীন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, ‘তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।’