‘শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও টেকসই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল অভিমুখে’ শীর্ষক কাঠমান্ডু ঘোষণায় তারা বলেন, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে নিজেদের ভূমি ব্যবহার প্রতিরোধ, সন্ত্রাসীদের নিয়োগ ও আন্তসীমান্ত চলাচল বন্ধ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটের অপব্যবহার প্রতিহত করা এবং সন্ত্রাসের নিরাপদ স্বর্গ ধ্বংস করে দেয়ার মতো পদক্ষেপ অবশ্যই ব্যাপক কর্মপন্থায় থাকতে হবে।
শুক্রবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শেষ হওয়া দুই দিনব্যাপী বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) চতুর্থ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
বিমসটেক নেতারা দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিম এশিয়ার মাঝে সংযোগ সৃষ্টিকারী সংস্থাটির উপযোগিতা ব্যবহারে স্থিরসংকল্প গ্রহণ করেন।
তারা শান্তি, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সংস্থাটিকে একটি কার্যকর মঞ্চ হিসেবে পরিণত করতে সদস্য দেশগুলোর মাঝে সহযোগিতা দৃঢ় ও গভীর করার জন্য পরিপূর্ণভাবে প্রতিশ্রুত থাকতে সম্মত হন।
বিসমটেক নেতারা সদস্য দেশসহ বিশ্বের সর্বত্র সন্ত্রাসী হামলায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সব ধরনের সন্ত্রাসের নিন্দা জানান। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসের পক্ষে কোনো সমর্থন থাকতে পারে না বলে জোর দেন তারা।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ও তাদের সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য করলেই হবে না, সেই সাথে যেসব রাষ্ট্র ও অ-রাষ্ট্রীয় সংস্থা সন্ত্রাসে উৎসাহ, সমর্থন বা অর্থায়ন করে ও আশ্রয় দেয় তাদের চিহ্নিত ও বিচার করার প্রতি মত দেন নেতারা।
শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও টেকসই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল অর্জনের জন্য বিমসটেককে একটি শক্তিশালী, আরো কার্যকর ও ফল ভিত্তিক সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার নেতারা পুনর্ব্যক্ত করেন।