মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশের হজযাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন খরচ হবে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-২ এর সমান। কোনোভাবেই এর নিচে নেয়া যাবে না। তা হলে হজযাত্রীদের সেবার মান হ্রাস পাবে, হজযাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। যা কোনোভাবেই আমরা সহ্য করব না।
খরচের ব্যাখ্যায় প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের প্যাকেজ-১ এ হজযাত্রীদের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা।
এ বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া প্রস্তাব করা হয় এক লাখ ৪৮ হাজার ১৯১ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার টাকা বেশি। এর সাথে এ বছর সৌদি আরব সরকার কর্তৃক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৯৮১ টাকা। সে হিসেবে প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীদের জন্য সর্বমোট খরচ প্রস্তাব করা হয় ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১০ টাকা। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদে প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীদের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫১৬ টাকা।
প্রকৃত হিসেবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৪ হাজার ৪১০ টাকা ব্যয় কমেছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩০৮টাকা।
এ বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া প্রস্তাব করা হয় ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৯১ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার টাকা বেশি। এর সাথে সৌদি আরব সরকার কর্তৃক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৯ হাজার ৩৫ টাকা। সে হিসেবে এ বছর ২০১৯ সালের প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের জন্য সর্বমোট খরচ প্রস্তাব করা হয় ৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ টাকা। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদে প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
যার ফলে প্রকৃত হিসেবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৬ হাজার ৩৯৫ টাকা ব্যয় কমেছে।
শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, সৌদি সরকার সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধি, অতিরিক্ত কর আরোপ ও পরিবহন ব্যয় গত বছরের দ্বিগুণের বেশি করায় খরচ ১৫ হাজার ৩২৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জের ওপর ১২ শতাংশ কর আরোপ করায় তা ৩ হাজার ৭০৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।