সেই সাথে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে প্রবেশ ও ব্যবহারের নীতিমালার ক্ষেত্রে ব্যাপক মানবাধিকার-ভিত্তিক ব্যবস্থার দৃশ্যমান অভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষা এবং সন্ত্রাস প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ দূত ফিওন্নোয়ালা নি আওলিন বলেন, ফেসবুকের সংজ্ঞা সব অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীকে সমান করে ফেলেছে যারা কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য বা সন্ত্রাস বন্ধে সহিংসতা করে।
এই মাত্রাতিরিক্ত বিস্তৃত এবং অস্পষ্ট সংজ্ঞার কারণে ফেসবুক ব্যবহারে বৈষম্য সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুকের সংজ্ঞা অনুযায়ী সন্ত্রাসী হচ্ছে, ‘যে কোনো অ-রাষ্ট্রীয় সংগঠন যারা রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা আদর্শগত লক্ষ্য পূরণে বেসামরিক জনগণ, সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ভয় দেখানোর জন্য ব্যক্তি বা সম্পদের বিরুদ্ধে পূর্বকল্পিত সহিংসতায় যুক্ত হয়।’
সোমবার জেনেভা থেকে ইউএনবির পাওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের ফেসবুক ব্যবহার নিষিদ্ধ। এ সংক্রান্ত বিষয়বস্তু ফেসবুক থেকে সরানোর জন্য সনাক্তকরণ প্রযুক্তি ও সন্ত্রাসবিরোধী ২০০ জনের দলের সাহায্য নিয়ে মডারেটরা কাজ করছেন।
নি আওলিন বলেন, ফেসবুকের এমন সংজ্ঞা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ অনেক সরকার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের- তারা শান্তিপূর্ণ বা সহিংস যাই হোক না- তাদের সন্ত্রাসের অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও ফেসবুকের সংজ্ঞা অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের কাতারে পড়ে যায় বলে জানান তিনি।