তবে দর্শকদের আশ কতটা পূরণ করতে পেরেছেন অমিতাভ ও আমির?
অভিনেতাদের পারফরম্যান্স বিচারের দায়িত্বটা মূলত দর্শকদের ওপরই বর্তায়। কেননা দর্শকই তো সিনেমার প্রাণ।
সিনেমাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে দর্শকদের উল্লাসের থেকে বরং সমালোচনাই বেশি ছিল। বেশিরভাগ দর্শক নাকি ছবিটি দেখে হতাশ হয়েছেন। কারও মনে হয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে আমির খানের এটি সবচেয়ে দুর্বল ছবি। আবার কেউ বলছেন, ট্রেলার দেখেই বোঝা গিয়েছিল ছবিটি একেবারেই ভালো হবে না। রিলিজের পরই প্রমাণ পাওয়া গেল তার। খবর আনন্দ বাজারের।
আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত এই ছবির পরিচালনা করেছেন বিজয়কৃষ্ণ আচার্য। আমিতাভ বচ্চন এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আজাদ চরিত্রে। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে এসেছিল ব্যবসা করতে। এই ফাকে তারা রাজত্ত্ব করেছিল ২০০ বছর। কোম্পানির হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করতে লড়েছেন আজাদ। এ লড়াইয়ে তার সহ যাত্রী চরিত্রে দেখা গেছে ফাতিমা সানা শেখকে। আর তাদেরকে শায়েস্তা করতেই ফিরাঙ্গি মল্লাহকে নিয়ে আসে ইংরেজরা। ফিরাঙ্গির চরিত্রে রয়েছেন আমির খান। ফিরাঙ্গিকে সঙ্গ দিতে আসে ক্যাটরিনা কাইফ। যাকে শুধু গানেই দেখার মতো।
হিন্দুস্তান অব টাইমস লিখেছে, ঐতিহাসিক একটি গল্প নিয়ে ছবিটি তৈরি করা হলেও চিত্রনাট্য ঠিকঠাক বাধতে ব্যর্থ হয়েছে পরিচালক। ছবির অনেক দৃশ্য অযথাই অনেক বড় করে দেখানো হয়েছে। যাতে করে ছবিটি অনেক দীর্ঘ হয়েছে এবং দর্শক তাদের আগ্রহ হারিয়েছে। এতে ছবির রেটিং দেয়া হয়েছে মাত্র ২.৫।
এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণে ছবিটি নিয়ে একটি পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ছবিটি নিয়ে তেমন উৎসাহ হওয়ার কিছু নেই। কারণ এতে অমিতাভ বচ্চন আর আমির খানের মতো দুজন শক্তিশালী অভিনেতা দুটি দারুণ চরিত্রে অভিনয় করেও ছবিটিকে তেমন আকর্ষণীয় করতে পারেনি।
সবকিছুর পরও ছবিটির দৃশ্যগুলো যেভাবে ক্যামেরায় ধারন করা হয়েছে তা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় ভিএফএক্স দিয়ে কিছু দৃশ্যের আসল গুরুত্ব হারিয়ে গেছে মাঝেমধ্যে।
আনন্দবাজার সূত্রের খবর, ১৮৩৯-এ প্রকাশিত ফিলিপ ম্যাডোসের লেখা বই ‘কনফেশনস অফ আ থাগ’ অবলম্বনে লেখা হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। আমিরের চরিত্রটি অ্যান্টাগনিস্ট। এ ছাড়াও ক্যাটরিনা কাইফ,ফাতিমা সানা শেখের মতো শিল্পীর অভিনয়ে সমৃদ্ধ এই ছবি দর্শকদের কতটা সন্তুষ্ট করতে পারে তা এখন দেখার বিষয়।