এ উপলক্ষে সোমবার সকালে তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তারেক মাসুদের নিজ বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুরে তার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
বিকালে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণসভা, গুণিজন সম্মাননা প্রদান ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে বিপরীতমুখী চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন।
মুক্তির গান, মাটির ময়না, আদম সুরত, রানওয়েসহ সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন তারেক মাসুদ। এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন ৫ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়।
শৈশবে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করেন তারেক মাসুদ। তারপর তিনি ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষে ঢাকায় চলে যান। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।
তারেক মাসুদের মা নূরুন নাহার বেগম জানান, মৃত্যুর আগে আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই, তারেকের নামে লাইব্রেরী ও যাদুঘর নির্মাণের। যার মধ্যে দিয়ে তারেক মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবে।