বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরতে মূলত জলরঙ নিয়ে কাজ করা চার শিল্পী জুটন চন্দ্র রায়, সুমন কুমার সরকার, কামরুজ্জোহা ও মানিক বণিকের মোট ৪৫টি শিল্পকর্ম ১৫ দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুয়ানাপোংসে তরুণ শিল্পীদের চিত্রকর্মের প্রশংসা করেন।
প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া শিল্পী জুটন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা যে চারজন শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছে, আমরা দেশের গ্রামীণ ও শহুরে সৌন্দর্য উভয় নিয়ে কাজ করি।’
শিল্পীরা তাদের কাজে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি, জীবনধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে গ্যালারি কসমসের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশি শিল্পীদের অনুপ্রেরণার অন্যতম প্রধান অবলম্বন হিসেবে রয়েছে প্রকৃতির প্রতি অনুরাগ।
তিনি আরো বলেন, জলরঙে প্রকৃতিকে তুলে ধরা সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশুদ্ধ শিল্প মাধ্যম। এমন প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে গ্যালারি কসমস বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের প্রকৃতির সাথে যুক্ত হওয়ার ওপর দীপ্ত আলো ফেলতে চায়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, যিনি নিজেও একজন শিল্পী তার উপস্থিতিতে এনায়েতুল্লাহ খান দুদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ হিসেবে সম্ভাব্য উদ্যোগ নিয়েও কথা বলেন।
প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া আরেক শিল্পী সুমন কুমার সরকারের মতে, এমন প্রদর্শনীর আয়োজন তরুণ শিল্পীদের আরো উৎসাহী করবে।
গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েত বলেন, বাংলায় ‘মৃন্ময়’ মানে হলো মাটি থেকে তৈরি কিছু। আর প্রকৃতির জন্য নিজেদের আবেগ ও চিন্তা থেকে চার তরুণ শিল্পী তাদের চিত্রকর্মগুলো একেঁছেন, যা এগুলোকে করেছে অনন্য।
শিল্পকর্মগুলো নিয়ে আলাপকালে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার বলেন, বাংলাদেশে সময়ের পরিক্রমায় জলরঙ এক অনন্য শৈলীতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশি শিল্পকর্ম ও প্রকৃতিকে তুলে ধরার জন্য এই শৈলীকে উন্নত করতে হবে।
প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত এবং তা ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।