করোনার এই দু:সময়ে আইসিইউ ইউনিট জরুরি বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার চিকিৎসকরা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে আইসিইউ’র ১০টি বেড আছে। ১০ লাখ টাকা দামের একটি গ্যাস এনালাইজার মেশিনের জন্য তা চালু করা যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন।
ইতোমধ্যে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লার সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসা অবহেলায় মারা গেছেন বলে তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে কুমেক ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে তা ৫০০ শয্যা। এখানে কুমিল্লার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের স্বল্প আয়ের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। এছাড়া রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় সংকটাপন্ন রোগী। কুমিল্লার চারটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে আইসিইউ চালু থাকলেও তা ব্যয় বহুল।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, হাসপাতাল প্রশাসন আগে থেকেই সেবা প্রদানে আন্তরিক। তবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। এটি এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। এখান থেকে রোগীকে রেফার করা দু:খজনক। পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য এখানে আইসিইউ চালু করা প্রয়োজন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা.মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কিছু যন্ত্রপাতি সংকটে আইসিইউ চালু করতে পারছি না। যন্ত্রপাতির চাহিদা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত পেয়ে যাবো।’