জাপানের গণমাধ্যম জানায়, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৫৮ জন।
জনগণকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে ও উদ্ধার অভিযানে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাপান সরকার। দুর্যোগপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পাঠানো হয়েছে সেনা, পুলিশ, দমকলকর্মী ও অন্যান্য ত্রাণকর্মীদের। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমেও সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে অনেক মানুষ।
হিরোশিমার দক্ষিণাঞ্চলে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
হিরোশিয়ার বাসিন্দারা জানায়, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে তাদের এলাকার অবস্থা এখন সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। নদীর পানি উপচিয়ে পড়ছে। শহরগুলো জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।
পানি আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টেলিফোনের খুঁটি গাছপালা ভেঙে পড়েছে, অনেক বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকশ’ মানুষ ঘরের ছাদে বাস করছে। তবে, সেনাবাহিনী প্যাডেল নৌকা ও হেলিকপ্টারে মানুষকে শুকনো জায়গায় নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে ব্যাপক এলাকা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার পরও ভূমিধস আঘাত হানতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ সকলকে সতর্ক করে দিয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক লাইন এবং বিপজ্জনক পদার্থের ঝুঁকি থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ঢোকার আগে দুর্যোগ কর্মীদের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
জাপান সরকার জানায়, এ পর্যন্ত ৯২ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পানিতে গাড়ি ভেসে যাওয়ার মতো হতাহতের শতাধিক খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযানে ৪০টির মতো হেলিকপ্টার নিয়োজিত আছে।
প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে সাংবাদিকদের বলেন, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, কোচি এলাকার একটি স্থানে তিন ঘণ্টায় ২৬.৩ সেন্টিমিটার (১০.৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে রেকর্ড রাখা শুরুর পর এটিই সর্বোচ্চ।