বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লুমবার্গ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা যদি নীতি পরিবর্তন না করে তাহলে আমি ডব্লিউটিও থেকে নাম প্রত্যাহার করবো।’
তবে ট্রাম্পের মতে, ডব্লিউটিও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক’ আচরণ করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য নীতি এবং মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার সাথে ডব্লিউটিও’র কাজের ধারার মধ্যকার দ্বন্দ্ব তুলে ধরে সংস্থাটির থেকে সরে আসার বিষয়ে সতর্ক করেন ট্রাম্প।
গত কয়েক মাসে অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক 'বাণিজ্য যুদ্ধ', যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুইটি অর্থনৈতিক শক্তি বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া অনেক পণ্যের ওপর শুল্ক ধার্য করেছেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে মার্কিন সিদ্ধান্তের জবাবে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ধার্য করা শুল্কের সমান অর্থমূল্যের শুল্ক চীনও আরোপ করেছে তাদের দেশে আমাদানি করা মার্কিন পণ্যের ওপর। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায়।
বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য সংস্থার যে বিভাগটি নিয়োজিত আছে, ঐ বিভাগের নতুন বিচারক নির্বাচন স্থগিত করে রেখেছে ওয়াশিংটন।
এই অবস্থায় সংস্থার সদস্যদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যত কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবে না ডব্লিউটিও।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম নির্ধারণ ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের সমাধান করার উদ্দেশ্যে ডব্লিউটিও গঠন করা হয়।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার মাধ্যমেই আন্ত:দেশীয় বাণিজ্যের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়মগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সেসব নিয়মের ব্যতিক্রম হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করা ও বাণিজ্য নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্ত:দেশীয় দ্বন্দ্বের মীমাংসা করা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।