এছাড়া অসংখ্য বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। ৮০ হাজারের অধিক উপকূলীয় অধিবাসীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ বাহিনীর কর্মকর্তা নরেন্দ্র কুমার জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও তীব্র বাতাস সহ ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’ উপকূলীয় তামিলনাড়ু রাজ্যে আঘাত হানে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার (৫৫ মাইল)। ধীরে ধীরে এটি উপকূল থেকে সরে যাওয়া পর দুর্বল হতে থাকে।
নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের ছয় জেলায় ৪৭০ টিরও বেশি ত্রাণকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। জেলেদের সমুদ্র থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করা হয়।
কর্মকর্তারা জানায়, দেয়াল ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশিরভাগ মানুষ মারা যায়।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে অনেক গাছপালা ভেঙে পড়ায় ও বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলিফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় স্কুল বন্ধ হয়ে দেয়া হয়। এছাড়া নাগাপাত্তিনাম ও কড়াইকল জেলার বেশিরভাগ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ু রাজ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা। ১৯৯৯ সালে উড়িষ্যা রাজ্যে আঘাত হানা এক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ১৫ হাজারের অধিক মানুষ মারা গিয়েছিল।