ওই বাঘিনীকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশের বিষয়ে ভারতের বনদপ্তরের সাথে একমত জানিয়েছে উচ্চ আদালত।
আদালত বলেছে, বনরক্ষীরা যদি বাঘটিকে ধরতে ব্যর্থ হয় এবং গুলি করে হত্যা করতে বাধ্য হয় তাহলে আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কর্মকর্তারা জানায়, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে ওই বাঘিনীর হামলায় পাঁচজন গ্রামবাসী নিহত হয়েছে।
বনরক্ষীরা বাঘটিকে ধরার পরিকল্পনা করার পর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকর্মীরা আদালতে আবেদন করেন যে, বাঘিনীটির প্রতি দয়া দেখানো হোক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একে প্রাণভিক্ষার আবেদন বলে অভিহিত করা হয়।
সংরক্ষণকর্মীরা বলেন, বন বিভাগ এটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে গ্রামবাসীদের মৃত্যুর জন্য বাঘিনীটিই দায়ী।
ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, বাঘিনীটির হাতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি মাত্র বাঘের হাতে এত লোক আক্রান্ত হওয়া খুবই অস্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, ভারতে প্রাণী সংরক্ষণ নীতির ফলে ২০০৬ সাল থেকে দেশটিতে বাঘের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দ্রুত বনভূমির পরিমাণ কমে আসায় তাদের সাথে নিকটবর্তী গ্রামের মানুষের সাথে সংঘাত দেখা যাচ্ছে।