এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে ঘর-বাড়ি ও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় হাজার হাজার পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের পর ভারতের নৌবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা এবং ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য দুটি জাহাজ এবং একটি হেলিকপ্টার নিয়োজিত করেছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত ৪০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮২ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সুপেয় পানি, খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের কাজ করছে তারা।
শুক্রবার তামিলনাড়ু রাজ্যের ছয়টি জেলায় ভারী বৃষ্টি ও ঘণ্টা ৯০ কিলোমিটার গতির ঘূর্ণিঝড় ‘গজার’ আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সব কিছু। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্তের পাশাপাশি রাস্তার ওপর বড় বড় গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় সেখানে।
রাজের্ সর্বোচ্চ নির্বাচিত প্রতিনিধি এদাপাদি প্যালাইনস্বামী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পর শুক্রবার সকালে ১৩টি মরাদেহ উদ্ধারের পর শনিবার সকালে আরও ২০টি মরাদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, নিহতের মধ্যে বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘর-বাড়ি ভেঙে ও বিদ্যুতায়িত হয়ে।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রায় ৩০ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি এবং এক লাখেরও বেশি গাছ উপড়ে গেছে জানিয়ে এদাপাদি প্যালাইনস্বামী বলেন, প্রায় ১০ হাজার শ্রমিককে এসব ঠিক করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।