অপ্রত্যাশিত বিজয়ের আনন্দে ইব্রাহিমের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসেন এবং জাতীয় পতাকা নেড়ে, উল্লাস করে ও গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উৎসবে মেতে উঠেন।
স্বাধীন সংবাদ ওয়েবসাইট মিহারোডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দিনের শুরুর দিকে গণনা শেষ হওয়া ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যালটের মধ্যে ইব্রাহিম পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট।
মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের একজন মুখপাত্র জানান, শনিবারের আগে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হবে না। এসময়ের মধ্যে দলগুলো ফল চ্যালেঞ্জ করতে আদালতে যেতে পারবে।
রাজধানী মালেতে হাজার হাজার সমর্থকদের মাঝে দেয়া বিজয়ী ভাষণে ইব্রাহীম তাদের কমিশনের ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিরোধীদের ভয় ছিল দমন নিপীড়ন চালানো রাষ্ট্রপতি ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমের জন্য রবিবারের নির্বাচনে হয়তো কারচুপি করা হতে পারে।
ইয়ামিন পরাজয় স্বীকার করে নেননি এবং তার দলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মালদ্বীপের মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য আহমেদ তোহলাল বলেন, ‘জনগণ এই ফল প্রত্যাশা করছিল না। নিপীড়নমূলক পরিবেশ থাকার পরও মানুষ তাদের মনের কথা প্রকাশ করেছে।’
স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে গণতন্ত্রের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ (৫৬)। ইয়ামিন সরকারের কারণে মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্য সিনিয়র নেতারা কারারুদ্ধ বা নির্বাসিত হওয়ায় ইব্রাহীম দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন।
দলের নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নশিদ শ্রীলঙ্কায় নির্বাসনে আছেন। মালদ্বীপের আদালতে কারাদণ্ড পাওয়ার কারণে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি।
ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে ইয়ামিন সরকারের আমলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও নাগরিকদের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায় বলে তথ্য বিশ্বব্যাংকের। কিন্তু গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপের চার লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে দুই লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দা ভোট দেয়ার যোগ্য।