নগরীর সান্ধ্য বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদনি করা রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারা আরও জানান, পাইকারিতে আমদানি পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে।
এদিকে, হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চালের দামও কেজিতে তিন টাকা বেড়েছে। নগরীর বড় বাজারে পাইকারি প্রতিকেজি চাল মোটা (স্বর্ণা) ৪১-৪৩ টাকা, আটাশ বালাম ৪৫-৪৭ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫০-৫৩ টাকা, মিনিকেট (নিম্ন মানের) ৪৬-৪৯ টাকা ও বাসমতি ৫৫-৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চাল মোটা (স্বর্ণা) ৪৪-৪৫ টাকা, আটাশ বালাম ৪৬-৪৯ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫০-৫৫ টাকা, মিনিকেট (নিম্ন মানের) ৪৭-৫০ টাকা ও বাসমতি ৫৬-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের সাগর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রব বলেন, ‘মিলারদের কারসজির কারণেই চালের দাম একটু বাড়তি।’
নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা ও বোতলজাত সব ধরনের সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মানভেদে ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৮৫-৯০ টাকা ছিল। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে পাঁচ টাকা বেড়ে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পাম তেলের দামও বেড়েছে। এখন প্রতি লিটার পাম ৭৫-৮০ টাকা ও পাম সুপার ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ৭০-৭৫ টাকা ও ৭৫-৮০ টাকা।
পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বলেন, গত সপ্তাহে কয়েক দিনের জন্য ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ার পর এর প্রভাব দেশীয় বাজারে পড়েছে। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমে যাওয়ার পর গত তিন দিন আগে দেশের পাইকারি বাজারেও দাম কমেছে।
বাজারে সবজির দামও এখন বেশ চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। এখন ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। এখন প্রতি কেজি পেঁপের দাম ৪০ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। পটল, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বেগুন ও করলা ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।