সচিবালয়ে বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আমি মনে করি, এ খাতে ওইসকল ব্যাংকগুলোকে একত্রীকরণ করা উচিৎ।’
রাজনৈতিক কারণে যথাযথ প্রয়োজন ও কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন না করেই সরকার অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করতে অনুমতি দেয়ায় অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা এর ব্যাপক সমালোচনা করেন। ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার জন্য সরকারের এরকম মনোভাবকে দায়ী করেন তারা।
কিন্তু অর্থমন্ত্রী বরাবরই এই ধরনের মতামত ও সমালোচনার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। বরং, আরো ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি প্রদানে তিনি সরকারের পক্ষে ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন তৈরির পরিকল্পনা করছেন তিনি।
‘আমার প্রতিবেদনটি মূলত ব্যাংকিং সংস্কারের ওপর ফোকাস করবে। তবে এটি সমগ্র আর্থিক অবস্থা তুলে ধরবে,’ বলেন মুহিত।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবেদনটি গোপন করা হবে না। বরং গণমাধ্যমের মাধ্যমে সকলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।